মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর ঃ
নবীনগরের সলিমগঞ্জ বাজারে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে, কথিত প্রতারক দালাল চক্র গোপনে অন্যের সম্পত্তি বিক্রি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সলিমগঞ্জের কথিত প্রতারক, ভূমিদস্যু, দালাল চক্রটিকে কালো তালিকায়ভূক্ত করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী । এলাকাবাসী বলেন, উক্ত চক্রটি ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে ভদ্রতার আড়ালে সমাজে বিভিন্ন অপরাধ, অনিয়ম, দূর্নীতি, চোরাচালান ও মাদক কারবারসহ প্রতিনিয়ত অনৈতিক কার্যকলাপ করে বেড়াচ্ছে। যার জন্য দালাল চক্রটিকে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। এদের কারণে নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য সলিমগঞ্জ ও বড়িকান্দি ইউনিয়নে চিড়া-মুড়ির মতো বিক্রি হচ্ছে। আর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে সকল বেজালজাতীয় জমি-জমা।
উক্ত প্রতারক চক্রটি তারা নিজেরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে, জমি বিক্রির সময় দুর্নীতিবাজ দলিল লেখকদের অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে দলিলে আগে পড়ে নাম্বার ফেলে অথবা কখনো জমি ক্রয়কারী ও বিক্রেতার অজান্তে দলিলে কম-বেশী লিখে রেজেষ্ট্রি করে দিয়ে জমিতে জামেলা সৃষ্টি করে রাখে। এমনকি তারা কখনো কখনো একই জমি দু’জনের কাছে একই তারিখে বিক্রি করে, রেজেষ্ট্রি অফিসের কথিত অর্থ পিপাষুদের যোগসাজসে। ঐখানেও এদের মাধ্যমেই তারা দলিলে কম-বেশী লিখে দলিল নাম্বার আগে পরে দিয়ে দেয় বলে জানা যায়। পরে প্রতারক চক্রটি সাথে সাথে না বলে কিছুদিন অতিবাহিত হলে, জায়গায় জামেলা আছে বলে সমাজে প্রচার করে। এক পর্যায়ে দালাল চক্রটি জামেলার অজু হাত দেখিয়ে পূনরায় উক্ত জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে অন্যত্র মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে বলে জানান, ভূক্তভোগীরা। এমন অভিযোগের কারণে সলিমগঞ্জে জমি ক্রয়-বিক্রয়ে এসব কালো তালিকাভূক্ত প্রতারক, ভূমিদস্যু, দালাল চক্র থেকে সাবধানে থাকা প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। তবে অচিরেই এ প্রতারকদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে বলে জানান ভূক্তভোগীরা।
জানা যায়, সলিমগঞ্জ বাজারের বাড়াইল মৌজার হাল দাগ ৩৩০ বিএস খতিয়ান ৮১৯ এর ভূমির অংশিদার শান্তি রায়ের অংশ ক্রয়সূত্রে ও কান্তি রায়ের অংশ বায়না সূত্রে মালিক-এম আই ফারুক আহমেদ ও মো : অবিদ মিয়া সরকার। উক্ত ভূমির আরেক অংশিদার খোকন রায়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে। এ-অবস্থায় একটি ভূমিদস্যু দালাল চক্র দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় ভাবে জমিটি দখলে নিতে চাচ্ছে।
বিশ্বত সূত্রে থেকে জানা যায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কু-চক্রী মহলের সাথে মোটা অংকের টাকা লেন-দেনের মাধ্যমে হাতাত করে জমিতে থাকা দোকান ঘরটি রাতের আধারে লুটতরাজ করে এবং দোকান ঘরটি ভেঙে জমিটি দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জড়িত প্রতারক, দালাল, ভূমিদস্যু, মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও লুটতরাজের মামলা করা হয়েছে। এদের খটির জোর কোথায় এগুলো নিয়ে আলোচনা -সমালোচনা চলছে এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
এ বিষয়ে জমির মালিক -সাংবাদিক এম আই ফারুক আহমেদ ও মো. অবিদ মিয়া সরকার বলেন, আমরা আইনিভাবে সকল পন্থায় প্রতারক, ভূমিদস্যু-দালাল চক্রের বিরুদ্ধে চরমভাবে লড়াই বা মোকাবেলা করবো। এতে যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে সেই ভাবেই মোকাবেলা করার প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। তারা আরো জানান, চাঁদাবাজ প্রতারক দালাল চক্রটি ব্যবসায়ী অবিদ মিয়ার কাছ থেকে চক্রটির দাবীকৃত দশ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে রাতের আধারে উক্ত ব্যবসায়ীর গোডাউনের মালামাল লুটতরাজ ও চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় দোকান ঘরটি ভেঙে জমিটি দখলের নেয়ারও চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর থানায় মামলা করা হয়েছে।
সাংবাদিক এম আই ফারুক আহমেদ ও মো. অবিদ মিয়া আরো বলেন, এই দোকান ঘর ভাঙা ও মালামাল লুটতরাজের সাথে জড়িত প্রতারক দালাল চক্রের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রতারক দালাল চক্র আমাদের কলিজায় আগাত করেছে। এই জঘণ্য অপরাধের জন্য তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। আমাদের দোকান ঘর ভাঙার সাথে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তিকে ভয়ংস্কর পরিনতি ভোগ করতে হবে। সময় মত তাদেরকে উচিত জবাব দেয়া হবে। তাদের ভয়ানক পরিনতি দেখে যেন মানুষ শিক্ষা নিতে পারে। আমরা যখন চিবিয়ে হাড়-মাংশ এক সাথে খাই। যেখানে খেতে হাড়কেও ছাড়িনা, সেখানে তাদেরকে ছেড়ে দিবো ? কি মনে করছে তারা। কখনো তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আর যারা মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমাদের দোকান ঘর ভাঙার সুযোগ করে দিয়েছে তাদেরকেও ভয়ংস্কর পরিনতি ভোগ করতে হবে। আমরা সবার তালিকা করেছি। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা প্রতেকেই সময় মতো তাদের পাওনা বুঝেে পাবে ইনশাআল্লাহ।
ইতোমধ্যে প্রতারক দালাল চক্রটিকে কালো তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে। তাদের উপর সমাজ তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারী রয়েছে। তাছাড়া আমরাও তাদরকে রেখেছি বিশেষ নজরদারীতে। উক্ত প্রতারক, দালাল, ভূমিদস্যু, চোরা বাহিনী আমাদের এবং সমাজের কাছে সবসময় ঘৃনার পাত্র হয়ে থাকবে। দোকান ঘর ভেঙে লুটতরাজ ও চুরি করে যে জঘণ্য অপরাধ করেছে, তাদেরকে এই জাতি ও সমাজ কখনো ক্ষমা করবে না। এবং আমরাও তাদেরকে ক্ষমা করবো না, কখনো আপোষ হবো না তাদের সাথে। দেখবো তারা আর কত অপরাধ করতে পারে।
তারা বলেন, এ চোরাবাহিনীর স্বন্ত্রাসী ও চুরি-চামচামির মত জঘণ্য কার্যকলাপের কারণে এদেরকে চোরা বাহিনী নামেই নামকরন করা হয়েছে। আজ থেকে সামাজের কালো তালিকা ভূক্ত এই চক্রটির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নতুবা এপ্রতারক দালাল চক্রটি দিন দিন তাদের অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহস পাবে।
অন্য একটি সূত্র জানান, এই ভদ্রবেশী মুখোশদারী চাঁদাবাজ প্রতারক দালাল চক্রটি মাদক ও চোরাকারবারীসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে।এরা সলিমগঞ্জসহ নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুরের সকল চোরাকারবারীদের ও মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার। এই প্রতারক দালাল চক্রের কারণে পুরো এলাকা মাদকে সয়লাব। তারাই এলাকায় মাদককে সহজলব্য পণ্য হিসাবে বিক্রি করার সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে। যার জন্য বড়িকান্দি ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় সব ধরনের মাদক।
সূত্রটি আরো জানান, সলিমগঞ্জের উক্ত দালাল চক্রটি সলিমগঞ্জ, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুরসহ আন্ডারওয়ার্ল্ডের একটি প্রতারক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা প্রশাসনকে অর্থের স্বার্থ দিয়ে, এমন হীন কাজ নেই যে তারা করে না। এ সিন্ডিকেট ভদ্রতার মুখোশ পড়ে সমাজের সহজ সরল মানুষকে ধুকা দিচ্ছে বলেও সূত্রটি জানান। সলিমগঞ্জের মাদক-চোরাকাবরীর গডফাদার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু, প্রতারক-দালাল চক্রটি মোটা অংকের অর্থের লোভে পড়ে, গোপনে জামেলা যুক্ত ৩৩০ দাগের জমিটি বিক্রয় করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ খুজছে।
এলাকাবাসী জানান, ভদ্রতার মূখোশ পড়ে প্রতারক দালালগুলো বিভিন্ন অপরাধসহ রাতের আধারে চুরি-চামচামি করে এখন চোরাবাহিনী নামে এলাকাতে ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে, অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন।
তবে হঠ্যাৎ অবৈধ ভাবে টাকা উপার্জন করে আঙুল ফোলে কলাগাছ হওয়া এসব মুখোশ ধারী গডফাদারদের মুখোশ আস্তে আস্তে উন্মোচন করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাদের ইতিহাস ও বিভিন্ন অপরাধ, দূর্নীতির অথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব অপরাধীদের সময় মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী আরো বলেন, তাদের সকল অপকর্মের বিস্তারিত উল্লেখ করে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বা মন্ত্রনালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
নিম্নে বর্ণিত জমি,
খরিদ সূত্রে শান্তি রায়ের অংশ ও বায়না সূত্রে কান্তি রায়ের অংশের মালিক-
এম আই ফারুক আহমেদ (সাংবাদিক)
মো : অবিদ মিয়া সরকার, সর্বসাং ধারাভাঙা
মৌজা : – বাড়াইল
জে, এল ন :- ০৪, সাবেক দাগ :- ১৩১, ১৩২, ১৩৩
হাল দাগ :- ৩৩০, বিএস – খতিয়ান :- ৮১৯
নামজারী খতিয়ান :- ২৩৩৭নং এর দখলীয় ভূমির মালিক বটে।
এবং বায়না সূত্রে কান্তি রায়ের অংশ বাড়াইল মৌজার একই দাগ-খতিয়ানের ৩.৫৬ (তিন শতক ছাপান্ন পয়েন্ট) দখলীয় ভূমির মালিকও বটে।
এমনতাবস্থায় এবিষয়ে শতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন-এম আই ফারুক আহমেদ ( সাংবাদিক ) ও মো. অবিদ মিয়া সরকার। সলিমগঞ্জ বাজার, নবীনগর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া।
উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মোবাইল করুন :- 01711 37 92 01,- 01727 63 92 47
…………….”জনস্বার্থে প্রকাশ করা হলো”…!………